গাড়িতে এসি চালালে কতটুকু জ্বালানি খরচ?
|
অনেকেই মনে করেন গাড়িতে টানা অনেকক্ষণ এয়ার কন্ডিশনিং চালালে জ্বালানি খরচ অনেক বেড়ে যায়। ট্রাফিক বেশি থাকলে এসি সর্বদা বন্ধই রাখারই চেষ্টা করেন। তবে এই প্রচণ্ড গরমে এসি ছাড়া ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তবে জ্বালানি খরচের চিন্তাই অনেকেই গাড়িতে এসি ব্যবহার করেন না। গাড়িতে এসি চালু থাকলে গাড়ির ইঞ্জিনের উপর কিছুটা চাপ অবশ্যই পড়ে। আর গাড়ির ইঞ্জিন যত বেশি শক্তি উৎপাদন করবে তত বেশি তেল খরচ হবে। তবে জানেন কি, ১ ঘণ্টা এসি চালিয়ে রাখেন কতটুকু জ্বালানি খরচ হয়? গাড়ির এয়ার কন্ডিশন অল্টারনেটর থেকে পাওয়া শক্তির সাহায্যে চলে। এই এটি ইঞ্জিন থেকে এই শক্তি পায়। তাই ইঞ্জিনের জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল বা ডিজেলই এই এসির শক্তির সরবরাহের উৎস। একাধিক রিপোর্ট ও সমীক্ষা অনুযায়ী, গাড়ির এসি চালু থাকলে ৮ থেকে ১০ শতাংশ পেট্রোল বা ডিজেল খরচ বেড়ে যায়। প্রতি ১০০ কিলোমিটারে ০.২ থেকে ১ লিটার পেট্রোল শুষে নেয় এসি। আরেকটি গবেষণা বলছে, ১ ঘণ্টা এসি চালাতে প্রায় ১.২ লিটার জ্বালানি খরচ হতে পারে। অটো বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গাড়িতে এসি চালালে মাইলেজে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাব পড়ে। তবে এসি চললেই যে জ্বালানি খরচ বেশি বা কম হবে এমনটা নয়। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হলে বা গরম বেশি হলে এসির উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। সেসময় কেবিন ঠান্ডা রাখতে অত্যধিক জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের। ঠিক তেমন ভাবেই শীতকালে এসির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। তখন জ্বালানি খরচ অনেক কমে আসে। সূত্র: কারটক, দ্য এয়ার কন্ডিশনিং কোম্পানি Please follow and like us: |