চট্টগ্রামে অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
|
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামে অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা মো. নিজামুল হক এবং তার স্ত্রী নাছিমা আকতারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামি নিজামুল হক ঝালকাঠি সদর থানার নৈকাঠি গ্রামের মৃত মো. শামছুল হক তালুকদারের ছেলে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলাটি দায়ের করেন ওই কার্যালয়ের উপপরিচালক (সংযুক্ত) মো. ফজলুল বারী। আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৩ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের সহযোগিতার অভিযোগে দুদক আইনের ২৬(২), ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। ঘটনার সময়ে তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে রাজস্ব কর্মকর্তা এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে পানগাঁও কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। পরে অবসরে যান তিনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাৎ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করে সত্যতা পায় দুদক চট্টগ্রাম। পরে নিজামুল হক ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সম্পদ বিবরণী জমার নোটিশ জারি করে দুদক। পরবর্তীতে ওই বছরের ৩০ মে দুজনই তাদের সম্পদ বিবরণী দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ জমা দেন। এরপর সম্পদ বিবরণী দুটি যাচাইকালে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৩ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের সহযোগিতার সত্যতা পায় দুদক। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়। |