বুধবার ১১ জুন ২০২৫ ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে বখাটেদের খপ্পর থেকে যুবক যুবতীকে উদ্ধার করলো বিএনপি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:৩০ পূর্বাহ্ণ

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের মঠখোলায় বখাটেদের খপ্পর থেকে যুবক যুবতীকে উদ্ধার করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয় বখাটের হামলায় আহত যুবককে মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসাও করাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

১২ মে সোমবার রাতে শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে যুবককে চিকিৎসায় খোঁজ খবর নেয়ারকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।জানা যায়, মোবাইল ফোনের ফেসবুকে পরিচয় সূত্রে খুলনার রূপসা উপজেলার পুটিমারা গ্রামের হযরত আলী এবং চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারের রঘুনাথপুরের মেয়ে আছমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর দুজনে শহরের মঠখোলায় মেয়ের এক পরিচিতর বাসায় আশ্রয় নিয়ে বিয়ে করেন। আর এতেই একদল উশৃঙ্খল বখাটে এলাকায় ওই আশ্রিতার বাসায় ঢুকে যুবক ও যুবতীকে জিম্মি করে নগদ অর্থ,স্বর্ণালংকারসহ জরুরী কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। গেলো ১০ মে এই জিম্মির ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি ১২ মে জানাজানি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ চিরুনী তল্লাশী চালিয়ে ওই মেয়ে ও ছেলেকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মোঃ ওমর ফারুক খান তুহিন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও বখাটেরা এলাকার সমাজ নষ্ট করতে অন্যের বাসায় ঢুকে ২ অসহায় নারী পুরুষকে জিম্মি করে টাকা পয়সাসহ জরুরী কাগজপত্র লুট করে। আমরা খবর পেয়ে জিম্মি ওই যুবক যুবতীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। যুবতীর থেকে ছিনিয়ে নেয়া স্বর্ণের চেইন ও আন্টিও উদ্ধার করে দিয়েছি। তবে এর আগেই বখাটেরা যুবকটিকে বেধরক মারধর করে আহত করে পালিয়ে যায়। তবে ওই যুবতীর সাথে কোন অনৈতিক কাজ করতে পারেনি। আমরা এই ঘটনায় জড়িত সকল অপকর্মকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বলেন, এলাকায় মেহমান হিসেবে যে কেউ যে কারো বাড়িতে আসবে যাবে। কিন্তু কতিপয় বখাটে ও মাদক ব্যবসায়ীরা লোকজনকে জিম্মি করে যা শুরু করেছে এর একটা বিহীত হওয়া দরকার রয়েছে। আমরা মঠখোলাবাসী শান্তি শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। যারা সমাজের বদনাম করে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা না হলে আমরা জনস্বার্থে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

এসময় স্থানীয় বিএনপি সমর্থক আব্দুর রহমান খান, কামাল খান, আরিফ খান, কামাল গাজী, শাহিন পাটোয়ারী, মোস্তফা গাজীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী নারী আছমা আক্তার বলেন, আমার নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা বিবাহ করেছি। কোন অনৈতিক কাজ ত করিনি। তাহলে আমাদের সাথে কেনো এমন ঘটনা করা হলো প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

ভুক্তভোগী হযরত আলী বলেন, আমি একজন কাতার প্রবাসী। আমার গলার চেইন, কাতারের ১২শ’ রিয়েল, কাতারের আইডি কার্ড, দেশী আইডি কার্ড,আকামাসহ নগদ অর্থ ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। আমি আমার মালামাল ফেরতসহ অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

ঘটনাস্থলে আসা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই সেলিম মিয়া জানান, দুপুরে খবর পেলাম যুবক যুবতী কিডন্যাপ ও মারধরের। পরে সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে নিয়ে মঠখোলার খলিলের বাসা হতে যুবতীকে উদ্ধার করি। তাছাড়া যুবকটিকেও পরবর্তীতে উদ্ধার করে নেতাকর্মীরা চিকিৎসা করাচ্ছেন। আমি উর্দ্ধতনের সাথে আলোচনা করে এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, আমরা ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের নাম পাচ্ছি। শুনেছি এর আগেও মঠখোলায় এ ধরনের জিম্মীর ঘটনা এদের মধ্যেই কেউ কেউ ঘটানোতে জড়িত। যদিও কেউ থানায় এসে আগে পরে কখনোই পুলিশকে জানায়নি বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাই এবার উদ্ধার হওয়া যুবক যুবতীকে তাদের পরিবার এবং তাদের বিবাহের কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। এরপর ওদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আমরা মঠখোলায় ওসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ