চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে ডিসিআরইউ’র শোক প্রকাশ
|
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিসিআরইউ) সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হৃদয়। ডিসিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন চিত্রনায়ক ফারুক অভিনীত চলচ্চিত্র দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। একইসঙ্গে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যু দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এ অভিনয় শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে আজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেশীয় চলচ্চিত্রে মিয়া ভাইখ্যাত এ অভিনেতা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের ওই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন নায়ক ফারুক। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও। ফারুক সবশেষ ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উল্লেখ্য ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় আবার তোরা মানুষ হ এবং ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার আলোর মিছিল এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ফারুক অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে- সারেং বউ, গোলাপী এখন ট্রেনে, লাঠিয়াল, নয়ন মনি, সুজন সখি, এতিম, দিন যায় কথা থাকে, কথা দিলাম, নাগর দোলা, সাহেব, মাটির পুতুল, ছোট মা, ঘর জামাই, সীমার, জনতা এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য। |