টানা ভারীবর্ষণ ও জলাবদ্ধতায় বিপাকে চুয়েট শিক্ষার্থীরা
|
হাবিব আসলাম, চুয়েট প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণাঞ্চল চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন যাবত চলছে একটানা ভারী বর্ষণ। ফলে চট্টগ্রাম শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এতে করে যেমন বিপাকে পরেছে নগরবাসী তেমনি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করে। শহর থেকে চুয়েটের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এই দুরত্ব পাড়ি দিতে চুয়েট কর্তৃক প্রদত্ত বাসের উপর নির্ভরশীল অধিকাংশ শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, চকবাজার, মুরাদপুর, হালিশহর সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও অলিগলি পানিতে ডুবে আছে। যার ফলে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গতকাল রোববার রাতেও বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম স্টেশনের পরিবর্তে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে স্টেশন থেকে বাস ছাড়ার কথা থাকলেও খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে তা পরিবর্তন করে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় নিয়ে আসা হয়। যার ফলে বাসের অবস্থান ও যাত্রাপথ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভোগছেন অনেক শিক্ষার্থী। তড়িৎকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়জুল করিম টিউশনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে শহরে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে শহরে যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে নানারকম সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে ক্লাস–পরীক্ষা পেছানোর সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। এগুলো বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানদের সিদ্ধান্ত। চুয়েটের বাস অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে স্টেশন যেতে পারছে না। তাই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়গুলো ভেবে দেখা যেতে পারে।’ এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ৮ আগস্ট, ২০২৩ তারিখের জন্যে সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাছাড়া ৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সকল ধরণের ক্লাশ-পরীক্ষা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তড়িৎকৌশল বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ওমকর চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচলের যে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে শহর থেকে এসে ক্লাস, ল্যাব, কুইজ, ভায়বাতে উপস্থিত থাকা এখন বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়িয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। নাহলে ভোগান্তি আরো বাড়বে। |