ডেঙ্গু রোগীর প্রতিদিন নতুন রেকর্ড
|
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে, এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার ৮৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যা ছিল দিনের হিসাবে বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। সেই রেকর্ড একদিন বাদেই ভাঙার খবর এল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে। তাতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৮৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৭৪ জন ঢাকায় এবং ৩১৫ জন ঢাকার বাইরের। নতুনদের নিয়ে এ বছর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৮৪৩ জনে। গত একদিনে মৃত তিনজনকে নিয়ে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৭৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩,২৫৩ জন রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ২,০৮০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১,১৭৩ জন। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বর্ষা পূববর্তী জরিপের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিতে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার ঝুকিপূর্ণ উপস্থিতি পা্ওয়া গেছে। এ অবস্থায় ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ঢাকায় এইডিস মশার উপস্থিতি কতটা তা শনিবার ডিএনসিসির এক অভিযানে কিছুটা দেখা গেছে। এদিন ডিএনসিসিরর মেয়র মোহাম্মদপুর এলাকার ছয়টি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এতে পাঁচটি বাড়ির নিচতলায় জমে থাকা পানিতে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যা। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। |