তরমুজের দাম কমেছে
|
গত প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে তরমুজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। রমজান মাস শুরু হলে তরমুজের চাহিদার পাশাপাশি সরবরাহ আরও বেড়ে যায়। রমজানের শুরুতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তরমুজের দাম প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। আকারভেদে প্রতি পিস তরমুজের দাম তখন ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে ছিল। ঈদের দেড় সপ্তাহ আগে সারাদেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ঢাকার তাপমাত্রা ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তপ্ত দিনে রোজা রেখে ইফতারিতে তরমুজ দিয়ে তৃষ্ণা মেটান অনেক রোজাদার। এ অবস্থায় গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে তরমুজের দাম বাড়ে। তবে বাজারে দাম বাড়লেও প্রান্তিক চাষিরা এর সুফল পাননি। রমজানের দ্বিতীয় ভাগে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরের তরমুজের দাম উঠে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। আর ছোট আকারের ১৫০ টাকার তরমুজ হয়ে যায় ৩০০ টাকা। বড় আকারের তরমুজ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়। তবে ঈদ ঘিরে মানুষ যখনই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন তখনই কমতে শুরু করে তরমুজের দাম। চাহিদা কমায় ঈদের পর ছোট বা মাঝারি তরমুজের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। একইভাবে দাম কমেছে বড় তরমুজেরও। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ, মগবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকৃতির তরমুজ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় আকৃতির প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে। ক্রেতারা বড় আকৃতির তরমুজ কেজি দরেও কিনতে পারছেন। এক্ষেত্রে কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এদিন সকালে তাবাসসুম তাসনিন নামে এক ক্রেতা মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচ থেকে একটি তরমুজ কেনেন ১৮০ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন, ঈদের আগে এমন তরমুজের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। এখন ক্রেতা কম হওয়ায় দাম কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা বাড়লে তারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। হঠাৎ তরমুজের দাম কমা নিয়ে মালিবাগ রেললাইন সংলগ্ন বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মামুন বলেন, তরমুজের সরবরাহ এখন আগের মতোই রয়েছে। তবে রাজধানীবাসীর অনেকে ঈদ শেষে গ্রাম থেকে এখনো ঢাকায় ফেরেননি। এ কারণে বাজারে কিছুটা ক্রেতা সংকট রয়েছে। একই কথা জানান কারওয়ান বাজারের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা বোরহান। তিনি বলেন, এখন ঘাটে (পাইকার) চাহিদার তুলনায় তরমুজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমছে। এ কারণে আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছি।
|