দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিএনপির মজ্জাগত রোগ
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক কোনও অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। বুধবার (৩ মে) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনও শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন। বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন! এটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। তাদের নেতা তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল। লুটপাট ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। অর্থপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র কোকোর পাচারকৃত অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনেছে সরকার। দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিএনপির মজ্জাগত রোগ। জনগণের টাকা বিদেশে পাচারের যে অপসংস্কৃতি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা নির্মূল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ একের পর এক মাইলফলক অর্জন করেছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারার কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বসভায় প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, করোনার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে একটি মডেল বলে অভিহিত করেন। কাদের আরও বলেন, অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অগ্রগতিই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। তাদের সময় বাংলাদেশকে চরম ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হয়েছিল। বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বিএনপির চোখে অনন্য উচ্চতার এই ছবি ধরা পড়ে না। কারণ তাদের দৃষ্টি অতদূর পর্যন্ত পৌঁছায় না। Please follow and like us: |