প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি
|
নিউজ ডেস্কঃ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে দেখা দিয়েছে শীতলতা। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি, এমনকি বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির রাজনীতিকরাও বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক কটূক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে তিক্ততা বাড়িয়ে চলেছেন। সব মিলিয়ে যেন এক অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছিল দুই দেশের সম্পর্ক। অবশেষে সেই শীতলতার বরফ গলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ‘তিক্ততা’ ডিঙিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ মার্চ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে হওয়া ওই বৈঠক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। স্থানীয় সময় মধ্যাহ্নের পর শুরু হওয়া মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক চলে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে এক ধরনের ক্ষোভের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। গণঅভ্যুত্থানে বিপুল প্রাণহানির সাথে সংশ্লিষ্টতা ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় বাংলাদেশ। এ প্রেক্ষাপটে ইউনূস-মোদি বৈঠকে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। একই সাথে ভারতে বসে হাসিনা যেসব উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়েও মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ইস্যু আলোচনায় তুলেছেন উল্লেখ করে প্রেস সচিব জানান, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, গঙ্গার পানি চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গেও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। |