ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা
|
রমজান মাসে ফিতরা একটা আবশ্যিক দান। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোজাদাররা অভাবীদের এটি দিয়ে থাকেন। ফিতরা আদায় করার উত্তম সময় হচ্ছে ঈদের নামাজে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে। অর্থাৎ ফিতরা দিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়া। ইসলামি শরিয়াহ মতে, সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, গম, কিশমিশ, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মাঝে বিতরণ করা যায়। সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা জব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটি ওয়াজিব।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫১২) কিন্তু যাকে তাকে ফিতরা দেওয়া যাবে না। কাকে ফিতরা দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যারা যাকাত পাওয়ার অধিকার রাখে, তারাই ফিতরার হকদার। এক্ষেত্রে নিজ পরিবার-পরিজনের মধ্য গরিব-অসহায়রাই ফিতরার প্রথম হকদার। আর একজনকে ন্যূনতম পূর্ণ একটি ফিতরা দেওয়া উত্তম। প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে কয়েকজনের ফিতরাও একজনকে দেওয়া যেতে পারে। সুরা তাওবার ৬০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য, এই হলো আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ এ আয়াতে যাকাতের ৮টি খাতের বিবরণ তুলে ধরেছেন আল্লাহ তআলা। আর সেই লোকেরাই ফিতরা গ্রহণ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো- ফকির মিসকিন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি আল্লাহর পথে খরচ মুসাফিরদের জন্য |