রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহু নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে কারাগারে ব্যাংক কর্মকর্তা
প্রকাশ: বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মনির হোসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মো. মনির হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও ব্ল্যাকমেইল করেন তিনি।

মঙ্গলবার রূপনগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাদীর মেসেঞ্জারে Mohammad Monir Hossain নামে ফেসবুক আইডি থেকে একটি মেসেজ আসে। বাদী মেসেজের রিপ্লাই করলে আসামি এসএসসি ব্যাচ ২০০১ সালের একটি ফেসবুক গ্রুপ (যার নাম ‘এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ’) এডমিন বলে পরিচয় দেন। আর বাদীকে উক্ত গ্রুপে সংযুক্ত হওয়ার জন্য ইনভাইট করে বাদীর মেসেঞ্জারে অডিও কল দেন। পরবর্তীতে বাদী তার গ্রুপে জয়েন করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, কিছুদিন পর বাদীকে উক্ত গ্রুপের মডারেটর হওয়ার প্রস্তাব দিলে বাদী প্রস্তাব গ্রহণ করে মডারেটর হন। এরপর প্রতিনিয়ত যোগাযোগের এক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে শারীরিক সম্পর্ক করেন আসামি। এর কিছুদিন পর বাদী বিভিন্নভাবে জানতে পারেন আসামির চরিত্র ভালো না। আরও অনেক মেয়েকে তার গ্রুপের মডারেটর করে কৌশলে তাদের অনেকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাদী আসামির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু বাদীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও আসামি তার মোবাইলে সংরক্ষণ করে বাদীকে ব্লাকমেইল করে প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিতেন মনির।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষের দিকে মনিরের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছিন্ন করে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব নাকচ করেন বাদী। তারপর থেকে বাদীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন মনির। এমনকি মারধর করে আহত করেন। এছাড়া বাদীর বাসায় গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ফেসবুক গ্রুপের বন্ধু জুবায়ের সানির মেসেঞ্জারসহ অনেকের কাছে বাদীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেন।

 







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ