বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রস্তাব বা বিলের ওপর ইসরায়েলের পার্লামেন্টে প্রথম দফার ভোটাভুটি হয়েছে। সোমবারের (১০ জুলাই) ওই ভোটাভুটিতে বিলটি পার্লামেন্টে গৃহীত হয়েছে।

বিলটি আইনে পরিণত হলে ইসরায়েলি বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে সীমিত করবে। তাই বিলটিকে বিচারব্যবস্থার ওপর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের একটি আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিলটি ইসরায়েলে বিভক্তি তৈরি করেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী জোট সরকার গঠিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে।

বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতি সপ্তাহের শনিবার হাজার হাজার ইসরায়েলি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন। তারা এ সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পাস না করার দাবি জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভ-বিরোধিতার মধ্যেই সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে প্রথম দফার ভোটাভুটির জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়। উত্তপ্ত অধিবেশনের মধ্য দিয়ে বিলটি ৬৪-৫৬ ভোটে পার্লামেন্টে গৃহীত হয়। এর মধ্য দিয়ে বিলটি পার্লামেন্টে প্রাথমিক অনুমোদন পেলো। এটিকে আইনে পরিণত করার জন্য বিলটির ওপর আরও দুই দফা ভোট হবে।

বিলটির ওপর ভোটাভুটির আগে কিছু বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভবন নেসেটে ঢুকে পড়েন। পরে তাদের বের করে দেওয়া হয়। বিল উত্থাপন কেন্দ্র করে পার্লামেন্টের বাইরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন।

বিরোধীরা বলছেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা দুর্বল ও সরকার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার সুযোগ পাবে সরকার, হুমকিতে পড়বে ইসরায়েলের গণতন্ত্র।

তবে নেসেট বিল নিয়ে বিতর্কের সময প্রকাশিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, এটি গণতন্ত্রের শেষ নয়, বরং এ সংস্কার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। সংশোধিত আইন দ্বারা ইসরায়েলি আদালতের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আদালত সরকারী পদক্ষেপ ও নিয়োগের বৈধতা তদারকি করবে। যদিও তার এ বক্তব্য বিরোধীদের শান্ত করতে ‍খুব একটা কাজ করেনি।

সূত্র: ইসরায়েল