মিলছে না হোটেল
|
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে ভয়ংকর দাবদাহ। কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলোতে তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসে ঘোরাফেরা করছে। এই হাঁসফাঁস গরমে বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। যদিও আগামী মাসে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে এই দাবানলের মতো গরম থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে? আপাতত, দাবদাহের হাত থেকে একটু প্রশান্তি দিতে পারে বিশুদ্ধ বাতাসযুক্ত পাহাড়ি এলাকার ঠান্ডা মনোরম পরিবেশ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পছন্দের জায়গা পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং। বাঙালির কাছে পাহাড় বললে প্রথমেই মনে আসে দার্জিলিংয়ের কথা। এই তীব্র গরমে অল্প খরচে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে আসা যেতে পারে দর্শনীয় এলাকাটি থেকে। গরম থেকে নিস্তার তো মিলবেই, পাবেন ঐতিহ্যবাহী ট্রয় ট্রেনে ঘোরার সুবিধাও। পানিহাটির গৃহবধূ সুচেতা মুখার্জি অনেকদিন ধরেই ভাবছি, গরমের হাত থেকে বাঁচতে দার্জিলিং থেকে ঘুরে আসি। কিন্তু ট্রেনের টিকিট পাচ্ছি না। আর হোটেলগুলোতে ফোন করলে বলছে, রুম ফাঁকা নেই। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা রিন্টু দাশ এবার গরমের ছুটিতে ছেলের দাবি, দার্জিলিং বেড়াতে যাবে। তবে এই সময়ে থাকা, খাবারের হোটেল পাওয়া খুবই কষ্টকর। পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে দার্জিলিংয়ে জায়গা না মিললে ঘুরে আসতে পারেন কাছাকাছি কার্শিয়াং, কালিম্পং, ডুয়ার্সের মতো দর্শনীয় স্থানগুলো থেকেও। কালিম্পং থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে লাভা-লোলেগাঁওয়ের জঙ্গলঘেরা নিরিবিলি পরিবেশ আপনার শরীর-মন দুটোকেই শান্ত করতে বাধ্য। রাতে লোলেগাঁওয়ের কোনো এক জায়গায় বসে দূরের কালিম্পং শহরের দিকে তাকালে মনে হবে, পাহাড়ের বুকে কতগুলো প্রদীপ টিম টিম করে জ্বলছে, যার আলোতে অন্য কোনো জগতে হারিয়ে যেতে চাইবে মন। তবে এখন ঘুরতে যাওয়ার আগে একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, এই তীব্রগরমে এসব এলাকায় পর্যটনের পিক সিজন চলছে। সেখানে হোটেলগুলো ফাঁকা নেই বললেই চলে। তাই সুন্দর মনোরম পরিবেশে নির্ঞ্ঝঝাটে ঘুরতে চাইলে অবশ্যই আগেভাগে থাকা-খাওয়ার জায়গা নিশ্চিত করে যেতে হবে। |