বাসস্ট্যান নেই: পদ্মা সেতুর মহাসড়কে যাত্রী নামছে
|
ঢাকা-যশোর ও ঢাকা-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম পদ্মা সেতু। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি পারাপার হচ্ছে সেতু দিয়ে। কিন্তু পদ্মা সেতুর দক্ষিণে নাওডোবা এলাকায় নেই কোনো বাসস্ট্যান্ড। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী ওঠানামা করছে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। এতে বাড়ছে সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যাত্রী ও স্থানীয়দের দাবি, নাওডোবা এলাকায় একটি বাসস্ট্যান্ড ও একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হলে দুর্ঘটনা কমবে। যাত্রীছাউনির ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে সড়কে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘসময়। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দেখা যায়, মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকার দক্ষিণ দিকের বাম পাশে গ্লোবাল নামের একটি বাস থামিয়ে যাত্রী নামাতে দেখা যায়। প্রতিনিয়তই এভাবে শত শত গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামানো হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড নেই বলে মহাসড়কের পাশ দিয়েই বাইপাস রুটের দুই পাশে ২০-৩০টি বাস পার্কিং করা থাকে সবসময়। সেখান থেকে বাসগুলো সময়মতো না ছাড়ায় চলতি গাড়িতে দ্রুত ঢাকায় যাওয়ার জন্যই মহাসড়কের বাস থামিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ উদাসীন হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হচ্ছেন। নাওডোবার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘নাওডোবাবাসীর জায়গার ওপর দিয়ে পদ্মা সেতু হয়েছে। তবে সে তুলনায় আমরা কিছুই পাইনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর হয়ে গেলেও এখনো কোনো বাসস্ট্যান্ড করা হয়নি। অথচ বাসস্ট্যান্ড করার মতো জায়গা এখানে অনেক আছে। শুধু বাসস্ট্যান্ড নয়, একটি ওভারব্রিজ দরকার।’ পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হতে দেখা যায় রোমানা বেগমকে। তিনি বলেন, ‘শিবচর থেকে আমার মামাবাড়ি বরিশাল যাবো। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হলাম। তবে এখানে একটা ফুটওভার ব্রিজ দরকার।’ মহাসড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী নামানোর বিষয় গ্লোবাল পরিবহন বাসচালক মো. ফয়সাল বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করে তো গাড়ি থামাই না। যাত্রীরা সড়কে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল দেয়। শুধু আমরা না, অন্য বাসও থামে।’ এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কের ওপর কোনোভাবেই দূরপাল্লার বাস থামিয়ে পার্কিং করা যাবে না। যাত্রী ওঠানামা করাও যাবে না। এখানে বাসস্ট্যান্ড না থাকলেও বাইপাসের কাছে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড রয়েছে।’ |