রেলস্টেশনে ‘নিরীহ’র ছদ্মবেশে মাদক বেচাকেনা: ধরা পড়লেন ৩,৯০০ পিস ইয়াবাসহ চিহ্নিত পাচারকারী সালাম মোল্লা
|
নিজস্ব প্রতিনিধি:দীর্ঘদিন ধরে সমাজে সাধারণ ও নিরীহ মানুষের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। কারও নজরে পড়েননি, প্রশ্ন জাগেনি প্রতিবেশীর মনে—কীভাবে একজন মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন কক্সবাজার, আর ফিরে আসেন হাতে বিশাল অঙ্কের অর্থ নিয়ে..? কিন্তু সময়ের কাছে মুখোশ টেকে না। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনেই খসে পড়ে আব্দুস সালাম মোল্লার (৫৪) সেই মুখোশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৩,৯০০ পিস ইয়াবাসহ। শনিবার, ১১ মে—চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং উপপরিদর্শক গোপাল কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চালানো হয় এই সুনির্দিষ্ট অভিযান। আব্দুস সালাম নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বিশনন্দী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দয়াকান্দা, মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মৃত আব্দুল তাহের মোল্লা ও মাতা রাজুমন বেগম। তদন্তে উঠে এসেছে, কক্সবাজারের কলাতলীর একটি হোটেল তাঁর নিয়মিত ঠিকানা ছিল, যেখান থেকে সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন এলাকায় ইয়াবার লেনদেন করতেন। উদ্দেশ্য একটাই—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে চলা। সালাম নিজেই স্বীকার করেছেন, শুরুতে প্রতিটি ইয়াবা সংগ্রহ করতেন মাত্র ৪৫ টাকা দরে, যা সময়ের ব্যবধানে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। এরপর এসব ইয়াবা সরবরাহ করতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, বগুড়া ও মাদারীপুরের মতো অঞ্চলে। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, কেবল সালাম নয়—এই চক্রের পেছনে থাকা মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে শুরু হয়েছে গভীর তদন্ত। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে একটুও পিছিয়ে আসবে না রাষ্ট্র—এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। |