রোজার রাখার ১০টি ফজিলত
|
রোজার অসংখ্য ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে ১০টি ফজিলত তুলে ধরা হলো- ১. রোজার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহতায়ালা নিজে দেবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে। রোজা আমার জন্যই, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। -সহিহ বোখারি : ১৮৯৪ ২. আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কেয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন। -বাযযার : ১০৩৯ ৩. কেয়ামতের দিন রোজাদারদের জন্য একটি বিশেষ পানির হাউজ থাকবে, যেখানে রোজাদার ছাড়া অন্য কারও আগমন ঘটবে না। -মুসনাদে বাযযার : ৮১১৫ ৪. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় একদিন রোজা রাখবে, পরে তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -মুসনাদে আহমাদ : ২৩৩২৪ ৫. জান্নাতে একটি বিশেষ ফটক রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। সেই ফটক দিয়ে কেবল রোজাদাররাই প্রবেশ করতে পারবে। -সহিহ বোখারি : ১৮৯৬ ৬. রোজাদাররা রাইয়ান নামক ফটক দিয়ে প্রবেশ করে জান্নাতের পানীয় পান করবে। তারপর থেকে আর কখনো তারা পিপাসার্ত হবে না। -জামে তিরমিজি : ৭৬৫ ৭. রোজা জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল। আল্লাহতায়ালা বলেন, রোজা হলো ঢাল। বান্দা এর দ্বারা নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। -মুসনাদে আহমাদ : ১৪৬৬৯ ৮. রোজা কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব! আমি তাকে খাদ্য ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অতঃপর তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। -আহমাদ : ৬৬২৬ ৯. ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখলে পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি : ৩৮ ১০. ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে যেদিন সে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। নাসাঈ : ২৫১৮ Please follow and like us: |