শিশুকে অপহরণ করে চক্রটি
|
স্কুল, বাজার, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে একা ও বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে সুকৌশলে অপহরণের পর তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সের (বিকাশ, নগদ) মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল একটি চক্র। শিশু অপহরণকারী সংঘবদ্ধ এই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগ। শুক্রবার (৫ মে) গাজীপুরের সালনা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো–মো.মিল্টন মাসুদ (৪৫), মো. শাহীনুর রহমান (৩৮) ও সুফিয়া বেগম (৪৮)। শনিবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, গত ২৪ মার্চ উত্তরা ৪ নং সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে ৬ বছরের শিশু শাহিন শেখ হারিয়ে গেলে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি তদন্তের সূত্র ধরে প্রথমে অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত ও অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, বাজার, রেস্টুরেন্টসহ নানা জায়গায় একা থাকা ও বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে। এরপর সুকৌশলে অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই চক্রের মূল হোতা মো. মিল্টন মাসুদ ও তার সহযোগী মো. শাহীনুর রহমান গত ৬-৭ বছর ধরে ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুকে অপহরণ এবং তাদের আত্মীয়দের নিকট হতে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা (২০ থেকে ৫০ হাজার) মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করতো। অপহরণকারীরা দীর্ঘদিন যাবত একই কাজে অভিজ্ঞ হওয়ায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করেও তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান শনাক্তের পর অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. মিল্টন মাসুদের নামে ইতোমধ্যে ৫টি এবং মো. শাহীনুর রহমানের নামে ঢাকা ও গাজীপুরে ৩টি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। |