সন্ত্রাসী চক্রের ধ্বংস লীলায় নদীর বুকে বিলীন হচ্ছে মানুষের ঘর-বাড়ী
|
সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পিয়াইন নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে একটি সন্ত্রাসী দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের এই ধ্বংস লীলায় বিলীন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ মানুষের ঘর-বাড়ি।এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অবৈধ কর্মকান্ড ও বালু উত্তোলন বন্ধে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জাফলং ইউনিয়নের দেড়িখা বাগাবন্দ গ্রামের বাসিন্দা নুর গনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাস খানেক থেকে পিয়াইন নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র। এই চক্রের প্রধান হলেন, জাফলং ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন কিবরিয়া। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নারী ধর্ষণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তার কোন ব্যবসা না থাকলেও সে চাঁদাবাজি করাই হলো তার একমাত্র পুঁজি।
দেলোয়ার স্থানীয় মনতরতল বাজার সমিতির সভাপতি হওয়ায় সে প্রতিদিন রাতে বাজারের কার্যালয়ে মাদক সেবন সহ সকল ধরণের অসামাজিকতা চালিয়ে যাচ্ছে।তার সাথে রয়েছে দেড়িখা বাগাবন্দ গ্রামের চিহিৃত চাঁদাবাজ ও নামধারী যুবলীগ নেতা খায়রুল ও তার ফজলু, এবং ইসলামাবাদ গ্রামের যুবদল নেতা নাজমুল ইসলাম রিপন, লেছু মিয়া, শামসু মিয়া। এরমধ্যে দেলোয়ার, খায়রুল ও নাজমুলই হলেন এই চক্রের নেতৃত্বদাতা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিন সন্দ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত মনরতল বাজার সংলগ্ন পিয়াইন নদী থেকে শত শত নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। নৌকা বুঝাই করার পর র্যালটির নামে আদায় করেন অবৈধ চাঁদা। কিন্তু এই নদী থেকে কোন ধরণের র্যালটি আদায়ের বৈধতা নেই এবং নদী কোন ধরণের ইজারা দেওয়া হয়নি।অবৈধ ভাবে ক্ষমতার বলে নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করেন এই সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা। একটি নৌকা থেকে তিন বার টাকা নিয়ে থাকেন তারা। প্রথমে র্যালটি এরপর পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়নের নামে।
এই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম খান এর দেলোয়ার, খায়রুল ও নাজমুলের রয়েছে গভীর সখ্যতা। যার ফলে এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে শেল্টারদাতা হিসাতে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন এসআই জহির। মিলে মিশে খবলে খাচ্ছেন পিয়াইনের বুক।নদীর বুকে বিলীন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ মানুষের ঘর-বাড়ি। এই সস্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি স্থানীয়রা। নিরবে কান্না করছে এই নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।
তাদের দাবির পরিপেক্ষিতে নুর গনি এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করে তিনি এখন নিরাপত্তহীনতায় ভোগছেন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ এদের গ্রেফতারের দাবি জানান স্থানীয় নদীর পাড়ের এই অসহায় জনগোষ্টী ।
|