সরকারকে সতর্ক হতে বলেছেন কাজী ফিরোজ রশীদ
|
সামনে বিপদ আসছে এমন মন্তব্য করে সরকারকে সতর্ক হতে বলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, একটি বড় দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে, তারা দেশী বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে এ নির্বাচন নিয়ে। দোড় ঝাপ কিন্তু শুরু হয়েছে, বিপদের শঙ্কা রয়েছে, তাই সাবধান হোন। তিনি বলেন, আপনাদের অনেক অর্জন এই সংসদে কিন্তু আপনাদের দূর্বলতা তো আছে। আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে একট কমিশন গঠন করেত পারেন নাই। কারা জড়িত ছিলো জাতি যদি তা জানতে চায়। বঙ্গবন্ধুকে মারা ছিলো একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ডালিম, নুর, হুদা, ফারুক রশিদ গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো এটা শুধু নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিলো সেই ষড়যন্ত্র আপনারা কেন বের করলেন না। চরম বামপন্থি, দক্ষিণপন্থি তাদের নাম এখন উচ্চারণ করা যাবে না কারণ তাদের নাম এখন নৌকায় উঠে চলে গেছে। নৌকায় উঠে বসে আছে, ৯ মাস আছে নির্বাচন এর পরই পার করে দেবে আপনাদের, ৫ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত, নৌকায় উঠে বসে গেছে সব। এই তো অবস্থা আপনাদের আওয়ামী লীগের। এই সংসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমার মনে হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো এতো ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী আর কোনো দিন কোনো দেশে হয়েছে বলে অন্তত আমার জানা নাই। তিনি তার পিতা সমস্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যা্েচ্ছন এটা তার অঙ্গিকার। বঙ্গবন্ধু কিন্তু এক দিনে হননি। উনি ঢাকার শহরে বসে নেতৃত্ব দেননি। সমস্ত বাংরাদেশ ঘুরে ঘুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আজকে আমরা ঘরের বাইরে যাই না একটা কাচের ঘরে বসে থাকি। আওয়ামী লীগের লোকরা সব চেয়ে বড় কোরবানীর গরুর মতো গলায় মালা দিয়ে নিয়ে আসে। এই যে টাকার বস্তা দিলাম নমিনেশন দিলে পাস করবে আলহামদুলিল্লাহ, তাকে নমিনেশন দেন। ত্যাগি কর্মীদের আপনারা দিচ্ছেন না, এটা হলো আরেকটা বড় দুর্বলতা আপনাদের। ‘৭৫ সালে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি নাই, আমাদের কাছে সব ছিলো, রেকর্ডে বলে গেলাম কিন্তু কোনো ডাাক আমরা পাই নাই। মাঝে মাঝে প্রত্যেকটা সিটে বলা হয় এবার আর লাঙল দেবো না নৌকা। আমি এই ২৬টা সিট চান কেন, আপনাদের তিনশ সাড়ে তিনশ সিটিই দিয়ে দিয়েছি। আপনারা আমাদের এতো ভয় পান কেন, ভয়ের কোনো কারণ নাই দরকার হয় সব সিট আমরা ছেড়ে দেবো তবু আপনারা শন্তভাবে দেশ চালান। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবেরর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দেখলাম আমাদের পাশে থেকে বললো যে আমাদের সংবিধানে একটা বড় সংশোধনী আনতে হবে, কি সংশোধনী বিসমিল্লাহ রাখা যাবে না। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা যাবে না সাংঘর্ষিক। আরে একটা সেটেল্ড ম্যাটার, মাত্র ৯ মাসে আর নির্বাচনের এই মুহুর্তে আরেকটা নতুন ইস্যু সৃষ্টি করে আপনাদের উদ্দেশ্যটা কি। আপনারা তো সহি সালামতে নৌকায় উঠে বসে আছেন। নৌকার কান্ডারি হচ্ছেন শেখ হাসিনা তাকেই নৌকা পার করতে হবে, নৌকা বহন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি ছাত্র লীগ যুব লীগ করেছি কিন্তু আমি নমিনেশন পাইনি। আমার দোষ ঘর ছেড়েছি, ঘর কি আমি ছাড়ছি ঘর থেকে আপনারা বের করে দেবেন, আর আমি গাছ তলায় বসে ্থাকবো, এই তো আমাদের নিয়তি। আপনারা ইতিহাস বলেন ইতিহাস আমিও বলতে পারি। এই ভাবে দেশ চলবে না। এখনও সতর্ক হন, সামনে কিন্তু বিপদ আসতেছে। আজকে একটা বড় দল তারা নির্বাচনে আসবে না বলে দিয়েছে। তারা দেশী বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে এ নির্বাচন নিয়ে। দোড় ঝাপ কিন্তু শুরু হয়েছে, বিপদের শঙ্কা রয়েছে, তাই সাবধান হোন। |