শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরকার দেশকে বসবাসের অনুপযোগী করেছে: জামায়াত
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস এবং পুরো দেশই বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলেছে। তাই দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে ব্যর্থ ও জুলুমবাজদের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে।’

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য এই দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা এতে সভাপতিত্ব করেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক।

আলোচনা সভা শেষে চলমান অবরোধে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত, আহত এবং গ্রেফতারদের কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ সাংবিধানিকভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু দেশে নির্বিঘ্নে ইসলামি মূল্যবোধ চর্চা করা যায় না। সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু দেশের কোনো নাগরিকের স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রের কোনো ক্ষেত্রে জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বরং সরকার সবকিছুইকেই দলীয়করণ করে ফেলেছে। ডিসি, এসপি ও ওসিসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিচারব্যবস্থাকেও পরিকল্পিতভাবে কলুষিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী, জালিমরা সবসময় পরাজিত হয়; বিজয়ী হয় মজলুমরা। তাই আমরা চলমান আন্দোলনকে বিজয়ী না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকবো। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা কবরো ইনশাআল্লাহ।’

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির আরও বলেন, ‘সরকারের আমাদের শীর্ষনেতাদের জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে গোটা দেশকেই বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। তারা ফরমায়েশি বাদী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে বিচারের নামে প্রহসন মঞ্চস্থ করে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। সাক্ষীদেরও চুরি করা হয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগের ইতিহাস চুরির ইতিহাস। তাই এই আত্মস্বীকৃত চোরদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাহলে জাতির ঘাড় থেকে ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে নামানো যাবে না।’

ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘সরকারের জুলুম-নির্যতন যত বাড়ছে, রাজপথ ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত কয়েক দিনের আন্দোলনে আমাদের নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে সরকারের ভিত নড়বড়ে করে দিয়েছেন। কিন্তু সরকার জনতার ওপর পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে কমপক্ষে ১১ জনকে শহিদ করেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার ও দলীয় সন্ত্রাসী মাঠে নামিয়ে জনতার আন্দোলন নসাৎ করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু বীর জনতা সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই রাজপথে চলমান অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করেছে। এ থেকে আমাদের পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই। বরং জীবন বাজি রেখে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুমবাজ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ