সুপার লিগের শেষটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ
|
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে আইসিসি চালু করেছে বিশ্বকাপ সুপার লিগ। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্বকাপে স্বাগতিকরা ছাড়া আইসিসি সুপার লিগের শীর্ষে থাকা আরও সাতটি দল এই ইভেন্টে সরাসরি অংশ নেবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের জায়গা নিশ্চিত করায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি সেই অর্থে গুরুত্ব হারিয়েছে। ১৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশ তবুও শেষটা ভালোভাবেই রাঙাতে চায়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে। ইংল্যান্ডের এসেক্সের চেমসফোর্ড মাঠে ম্যাচটি বাংলাদেশের কোনও টিভি চ্যানেল দেখাচ্ছে না। টেলিভিশনের পর্দায় না হলেও বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘আইসিসি টিভি’ম্যাচটি দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। ব্যক্তিগত ইমেইল আইডির মাধ্যমে আইসিসি ফ্যান অ্যাকাউন্ট খুলে তিন ম্যাচের এই সিরিজ দেখা যাবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য সুপার লিগে আটটি সিরিজ নির্ধারিত ছিল। ইতোমধ্যে সাতটি সিরিজ খেলে ফেলেছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার থেকে তারা অষ্টম ও শেষ সিরিজ খেলতে নামছে। আগের সাত সিরিজে ২১ ম্যাচে ১৩ জয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জন্য ইংল্যান্ডের বর্তমান কন্ডিশন কিছুটা কঠিন। ১ মে দেশ ছাড়লেও মাত্র একদিন পুরোদমে অনুশীলন করতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা। বাকি দিনগুলোতে ছিল বৃষ্টির প্রভাব। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রস্তুতি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তারপরও অচেনা কন্ডিশনে দলের কাছ থেকে সেরটাই চাচ্ছেন লঙ্কান কোচ, ‘বেস্ট পারফরম্যান্স, বেস্ট এটিটিউড। প্রস্তুতি নিয়ে আমি খুবই খুশি। ছেলেরা যেন তাদের ফিট রাখে। তাসকিনের চোট আমাদের সজাগ করে তুলতে পারে। কীভাবে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিট রাখা যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে।’ স্কোয়াডে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো দারুণ দুইজন অলরাউন্ডার আছেন। তাদের দক্ষতা সেরা কম্বিনেশন সাজাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘মিরাজ ভালো ব্যাটার, তার টেস্ট ও ওয়ানডেতে শতক আছে। আমরা অবশ্যই তাকে প্রকৃত অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। আমাদের আরও একজন প্রকৃত অলরাউন্ডার আছে, সাকিব আল হাসান। কম্বিনেশন যেমনই হোক আমরা সেরাটাই চাইবো। অতিরিক্ত ব্যাটার বা বোলার নিবো কি না তা কাল (মঙ্গলবার) সকালে ঠিক করবো।’ বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আয়ারল্যান্ডের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে সেই ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কাটবে তারা। নয়তো জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হতে হবে আইরিশদের। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে চায় না তারা। বাংলাদেশকে কোনও ছাড় না দেওয়ার প্রত্যয় তাদের। বাংলাদেশ সফরের সময় দলের সেরা পেসার জস লিটলকে আইপিএল খেলার জন্য ছেড়ে দিলেও মাঝপথেই ভারত থেকে তাকে উড়িয়ে এনেছে। পাশাপাশি ইনজুরি মুক্ত হয়ে দলে ফিরেছেন ক্রেইগ ইয়াং। এছাড়া ইনফর্ম ক্রিকেটার হিসেবে অ্যান্ড বালবির্নি, পল স্টার্লিং, কার্টিস ক্যাম্ফার, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিন তো আছেনই। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পরাশক্তি হয়ে ওঠা বাংলাদেশ প্রস্তুত নিজেদের শক্তি দেখাতে। আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামা দলটির জন্য ইংল্যান্ডের এই কন্ডিশন হতে যাচ্ছে পরীক্ষার মঞ্চ, যেখানে সফল হলে বিশ্বকাপে ভালো করার স্বপ্নে জোয়ার আসবে নিশ্চিতভাবেই।
|