রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্টের ঘটনার জন্য তারেক-খালেদা দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ: রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫২ অপরাহ্ণ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ‘চতুর্মুখী প্রস্তুতি’ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করায় কোনো ধরনের ‘চাপ ছিল না’, এখনও তারা ‘চাপমুক্ত’। কমিশন সভার আগের দিন রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাশেদা সুলতানা।

সাংবাবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা।

সেই হিসেবে এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে ভোট করার কথা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তেরে রাশেদা সুলতানা বলেরন, “আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনও আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে।

“সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কেনো দিক থেকেই কমিশনের কেউ চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।”

সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতাও প্রশমিত হবে বলে প্রত্যাশায় রয়েছে কমিশন। রাশেদা সুলতানা বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সব সময় বলি- বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।”

তিনি বলেন, “কোনদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরব না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভোটের দিন ভোরে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তাভাবনা নিয়েও কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, “ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।”

বিএনপির আশায় ইসি: কমিশনকে ‘আস্থায় এনে’ বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলেও প্রত্যাশা করছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, “এখনও আশাবাদী (আমরা), বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূট কৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পযন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কী কারণে করছেনন, কী চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাহআল্লাহ আসবে।“

বিএনপির উদ্দেশে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আস্থায় রাখতে না পারলে… উনারা মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পযায়ে উনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে আমরা বিশ্বাস।”

সব প্রস্তুতিই চলছে: সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নীতিমালা ও প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা এবং প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি চূড়ান্ত করতে সোমবার সভায় বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, “ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার, সোমবারের কমিশন সভায় সেটা উঠবে।”

রাশেদা সুলতানা বলেন, “প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করা লাগবে। এ জন্যে ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।“

এ সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে বলে জানান এই কমিশানর। তার ভাষ্য, আগের মত সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে তারা।

রাশেদা সুলতানা বলেন, “সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।“

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

তিনি বলেন, “আমরা নিয়োগ দেব না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।”







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ