ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
|
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে বিমান হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযান ও হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আটজন জেনিন শহরের এবং অপর একজন রামাল্লাহ শহরের কাছে নিহত হন। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তিনি। খবর আল জাজিরার। জেনিনের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী এবং গবেষক মোহাম্মদ কামানজি বলেন, শহর এবং শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী এখানে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্ধশতাধিক মানুষ এসব হামলায় আহত হয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা জেনিন শহরে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পুরো পশ্চিমতীরে তাদের অভিযান চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে জেনিন শহরে কমপক্ষে ১০ বার বিমান হামলা চালানো হয়। সেখানকার ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ইসরায়েলের সাঁজোয়া যানের একটি বহর শহরের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। জেনিনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে এবং সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশ কিছু ভবন এবং বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। চারদিক থেকে ধোঁয়া উড়ছে। পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যেই সোমবার বিমান হামলা চালানো হয়। ২০০৬ সালের পর ওই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জেনিন এবং উত্তর ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সামরিক অভিযান বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিনিদের গ্রামে বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ আরও বেড়েছে। এর আগে গত ২১ জুন ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং ১৯ জুন জেনিনের ওপর হেলিকপ্টার থেকে চালানো হামলায় সাতজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ট্রুমুস আইয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন গাড়ি ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পরের দিন এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
|