কোনো দেশের রেমিট্যান্স ঘাটতি কীভাবে সে দেশের সরকার কে ধ্বংস করে
|
নিউজ ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার প্রতি মাসের বৈদেশিক আয় ছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার প্রায়। সেই দেশের রেমিট্যান্স কমে নেমে গেল ২০০ মিলিয়ন ডলারে। এক বছর ধরে চলল এই অবস্থা। খেয়াল করেন। রেমিট্যান্স কিন্তু শূন্য হয়নি! এইটুকুই যথেষ্ট ছিল সেই দেশের স্বৈরাচার-যালিম রাজাপাকসে কে সমূল উৎখাতের জন্য। সেই সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি শ্রীলঙ্কাকে জেঁকে ধরে। তাদের রুপির দাম এতটা পড়ে যায় সেটা তোলা অসম্ভব হয়ে যায় রাজাপাকসের জন্য। ফলাফল? দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় এই স্বৈরাচারকে। এবার একটু বাংলাদেশের দিকে তাকান। বাংলাদেশে প্রতি মাসে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার টা নেমে হয়ে গেছিল চার ভাগের এক ভাগ। আমাদের টা যদি অর্ধেক ও নামে, প্রতি ডলারের দাম দাঁড়াবে ২০০-২৫০ টাকার মতন। এর চাইতে বেশিও হতে পারে। এখন মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রবাসী ভাইয়েরা যদি এখন আপনাদের রেমিট্যান্স আটকে দেন কয়েক মাসের জন্য তাতে টাকার মান পড়লেও আপনাদের হাতে রাখা ডলারের দাম শুধুই বাড়বে। ধরেন, এখন ১০০ ডলারে আপনার পরিবার পাবে আনুমানিক ১২,০০০ টাকার মতন কিন্তু যখন ডলারের দাম ২০০ এর মতন হবে, ১০০ ডলারে তারা পাবে ২৪,০০০ টাকা। অথচ এটার জন্য আপনাকে খাটতে হবে না। শুধুমাত্র নিজের কামাই কিছুদিন নিজের কাছে জমিয়ে রাখতে হবে। এই মুহূর্তে প্রবাসী ভাইয়েরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ই না অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক থেকেও এই ধ্বজভঙ্গ স্বৈরাচারি সরকারের চাইতে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। আপনাদের এই শক্তি টাই এই ফ্যাসীবাদী সরকার এর বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিবে। এখানেই তাদের ভয়। আপনার, আপনাদের পরিবার, দেশের মানুষের উপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, সেটার দাম নেয়ার ক্ষমতা আপনাদের আছে। এবার সেটা প্রদর্শনের পালা। |