বুধবার ০৭ মে ২০২৫ ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর কচুয়া রহিমানগর বাজারে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় আটক- ২ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ণ

মো.জসীম উদ্দীন:চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে চাঁদাবাজি, হুমকি ও হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।সম্প্রতি প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত দোকানপাটে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দিনে-দুপুরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। এর প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান কচুয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদল ব্যক্তি তাকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। অভিযুক্তদের মধ্যে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়।অভিযোগের ভিত্তিতে কচুয়া থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

আটকের পরদিনই হামলা: নেতৃত্বে মামলার প্রধান আসামি,তবে গ্রেফতারের ঠিক পরদিন, ৪ এপ্রিল (রোববার) দুপুরে মামলার প্রধান আসামি জিলানীর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রহিমানগর বাজারে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থ লুটে নেয় এবং দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরাও ধ্বংস করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানপাটে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রাণভয়ে পালিয়ে যান।

“চাঁদা না দিলে দোকান চলে না”—ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ

একজন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বলেন, “চাঁদা না দিলে শান্তিতে ব্যবসা করা যায় না। প্রতিবাদ করলে দোকানে হামলা হয়। এখন জীবনের ভয়েই দোকানে বসতে হচ্ছে।”

বাজারের পরিবেশ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সন্ধ্যা নামার আগেই অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে ফেলছেন। অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চিন্তা করছেন।

পুলিশের অবস্থান ও অভিযান:-এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন—চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে রহিমানগর বাজারে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সম্পাদকের মন্তব্য:এই ধরনের ঘটনাগুলো শুধু ব্যবসার পরিবেশকেই ধ্বংস করছে না, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রবাহ ও জনমানুষের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা রাখা জরুরি।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ