মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনতা ব্যাংকের পিয়ন পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে উধাও
প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩, ১১:১৭ অপরাহ্ণ

জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখার পিয়নের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকে পিয়ন মো. রঞ্জু আকন্দ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক তাঁদের জমা করা অর্থ অ্যাকাউন্টে দেখতে না পেয়ে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখা ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহজাদপুর থানায় খবর দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সাংবাদিকদের জানান, জনতা ব্যাংকের পিয়ন রঞ্জুর বাড়ি পৌর সদরের পাড়কোলা গ্রামে। তিনি শ্রমিক লীগের নেতা এবং পোড়কোলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকে আগত সহজ সরল গ্রাহকদের সহযোগিতা করার কথা বলে তাঁদের জমা করা অর্থ নিজের কাছে রেখে ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে রিসিভ কপি দিয়ে দিতেন। অপর দিকে গ্রাহকরা টাকা তুলতে এলে চেক রেখে নিজেই টাকা দিয়ে দিতেন। এভাবে প্রবাসীদের লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমার কথা বলে তা অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতেন। ব্যাংকের ক্যাশিয়ার, ম্যানেজার ও অন্য কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গ্রাহকদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

রঞ্জু ব্যাংকের চুক্তিভুক্ত পিয়ন হয়েও রহস্যজনক কারণে মূল ফটকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লেনদেন করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। তিনি সব সময় নিজেকে জনতা ব্যাংকের এমডি আব্দুস সালামের ঘনিষ্ট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সামনেই অপকর্ম চালাতেন।

এ ব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম জানান, পিয়ন রঞ্জু আকন্দ ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ব্যাংকের এমডির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে অপকর্ম করেছেন।

জনতা ব্যাংক এরিয়া অফিস সিরাজগঞ্জের ডিজিএম জাহিদুল আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওই অস্থায়ী পিয়ন রঞ্জু গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং তিনি বর্তমানে উধাও রয়েছেন। এ বিষয়ে থানাকে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী প্রতারক রঞ্জুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ