রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
|
আসন্ন রমজানে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের কপি না পাওয়ায় এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রায়ের কপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান হলো- আমরা এখনো রায়ের কপি হাতে পাইনি। সেটি পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজানে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এর আগে রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনগুলো দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে। অন্যদিকে, আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এর পরে বিষয়টি নিয়ে একজন অবিভাবক রিট আবেদন করেন ওই রিটের শুনানি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এদিকে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের এখনো শুনানি হয়নি। |