শাহজালালে প্রবাসীর সোনা চুরির অভিযোগ
|
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আসা চার যাত্রীর পাঁচটি লাগেজ কেটে সোনা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের ভেতরে ভুক্তভোগী যাত্রীদের কান্নাকাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের সিকিউরিটি বিভাগ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জানা যায়, ভুক্তভোগীরা হলেন গাজীপুরের বাসুদেব দাস, মুন্সীগঞ্জের নিমতলীর শিশির সরকার, ঢাকার তেজগাঁওয়ের তাহসিনা খান ও ঢাকার পল্লবীর হাসান আহম্মেদ শোভন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে ফ্ল্যাইটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারা। ভুক্তভোগীরা বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডেস্কে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ভুক্তভোগীরা রোববার রাতে থানায় এসেছিলেন। তবে তারা কোনো মামলা করেননি। তারা বলেছেন, বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডেস্কে অভিযোগ করেছেন। সেখানে সুরাহা না হলে তারা থানায় মামলা করবেন। শিশির সরকার গণমাধ্যমকে জানান, তার লাগেজে থাকা ছয় ভরি সোনার গয়না, মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। ভুক্তভোগী বাসুদেব দাস বলেন, আমার কাছে ২৯ গ্রাম স্বর্ণ ছিল। আরও একটি চেইন মায়ের জন্য কিনেছিলাম। সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোনও নিয়ে গেছে।’ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তারা বিমান থেকে নামার প্রায় দুই ঘণ্টা পর একজনের লাগেজ আসে। বিষয়টি তখন সন্দেহ হয়। পরে তিনি লাগেজ পেলেও সেটি খোলা পান। এরপর সবকিছু চেক করে দেখতে পান তার আনা স্বর্ণগুলো নেই। এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ কেপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, ১৫ অক্টোবর ৬টা ১১ মিনিটের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিঙ্গাপুর থেকে ফ্লাইট (ইএ-৫৮৫) অবতরণ করে। বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পর ৪ যাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী লাগেজ থেকে খোয়া গেলে তারা অভিযোগ করেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, মূলত সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক চেকিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে এই চার যাত্রী হাতে ৫টি লাগেজ বহন করছিলেন। পরে বিমানে ওঠার পূর্বমুহূর্তে লাগেজ ৫টির সাইজ বড় ও ওভারওয়েট হওয়ায় তা কেবিন লাগেজ থেকে হোল্ড লাগেজে স্থানান্তরের জন্য যাত্রীদের জানানো হয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সদস্যরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। এছাড়াও র্যাম্প সিকিউরিটি সদস্যরা বিমান অবতরণের পর লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান। |