খামার গুলোতে প্রস্তুত ৫ লাখের বেশি কোরবানির পশু
|
নাটোরে কোরবানির জন্য বিভিন্ন খামারে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ২৩৮ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যদিও জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজাাতের ২টি পশুর। বাকি পশুগুলো রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় বিক্রির জন্য নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে বিভিন্ন খামারে দেখা গেছে, ক্রেতারা পছন্দের পশু কিনতে ভিড় করছেন। অনেকে পশু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন। জেলার ১৮ হাজার খামারি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশু বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাটোর সদরের তেবাড়িয়া, বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া হাট, বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়, গোপালপুর উপজেলার মধুবাড়ী এবং সিংড়া ফেরিঘাটে প্রচুর কোরবানির পশু উঠছে। অনলাইন প্লাটফর্মে কোরবানির পশু কেনাবেচা কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানায়, এ বছর ৮৩ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ১৩ হাজার ১৭২টি গাভি, ১৪ হাজার ২৪২টি বলদ, দুই হাজার ৮২২টি মহিষ, ৪৬ হাজার ১৬৯টি ভেড়া ও ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তেবাড়িয়া এলাকার খামারি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য খামারে ১০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার, খৈল, গম, ভুসি, ছোলা এবং সবুজ ঘাস খাইয়ে এসব পশু মোটাতাজা করি। বাজার ভালো হলে প্রতি গরু দেড় থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো। নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ভুষণগাছা গ্রামের ইখলাস উদ্দিনের খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ফিজিয়ান দেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে তার খামারে ৫০-৬০টি গরু প্রস্তত রাখা হয়েছে। সাইজ ভেদে এক লাখের ওপর থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু তার খামারে রয়েছে। ছোট জাতের কিছু গরু এক থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। খামারে এসেই ক্রেতারা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার খামারে রয়েছে বেশ কিছু মহিষ। সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকার খামারি আবুল হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য খামারে ৩০টি ষাঁড় মোটাতাজা। বর্তমানে গরুর বাজার মূল্য মোটামুটি ভালো। দুইটি ষাঁড় বিক্রি করেছি। সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকার খামারি আনিছুর রহমান বলেন, চার বছর পাঁটি ষাঁড় দিয়ে খামার গড়ি। খামারে ২৫টি ষাঁড় রয়েছে। যার মধ্য ২০টি ষাঁড় কোরবানির বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যদি গরুর দাম বর্তমান বাজারমূল্যে থাকে তাহলে ৫০-৬০ লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে জানান। গরু কিনতে আসা আশিক নামের নামের এক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য মাঝারি সাইজের গরু খুঁজছি। এ বছর ২০-২৫ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। ফায়জুল ইসলাম ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর খামার থেকে গরু কিনে কোরবানি দেই। খামার থেকে গরু কিনলে সুবিধা রয়েছে। ঈদ পর্যন্ত গরু খামারে রাখা যায়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলায় ৫ লাখের বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
|