মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশিদের মনোবল চাঙা করবে ল্যাভরভের সফর
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরের দিকে চোখ সবার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন এই ঘটনা। তাদের মতে, ল্যাভরভের এই সফর বাংলাদেশিদের মনোবল চাঙা করবে। তবে বর্তমান টালমাটাল বিশ্ব পরিস্থিতিতে তার ওই সফরকে ওয়াশিংটন ভালো চোখে দেখবে না বলেও তাদের শঙ্কা। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে আগামী ৭-৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসবেন সের্গেই ল্যাভরভ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের জানান, যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতসহ বিভিন্ন শক্তির মধ্যে টানাপড়েন, ইন্দো-প্যাসিফিক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে বিশ্বে একটি টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বৃহৎ শক্তিগুলো অনুধাবন করতে পারছে।

তিনি বলেন, ‘গোটা বিষয়টি হচ্ছে ভূ-রাজনীতি। গত ৫০ বছরে রাশিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আসেননি। কিন্তু এবার আসছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান জটিল পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকে ওয়াশিংটন ভালো চোখে দেখবে না।’তবে তিনি এটাও যোগ করেন, ‘দুইপক্ষের মধ্যে কী আলোচনা হবে, আমি জানি না। তবে আমার ধারণা বাংলাদেশ এমন কোনও কিছু বলার বা শোনার ঝুঁকি নেবে না যাতে করে কোনও নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন শক্তির মধ্যে যে রসায়ন সেটি বাংলাদেশকে অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে তিনি জানান।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ সফর বিষয়ে বলেন, ‘রাশিয়া যেভাবে তাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে – আমার স্থির বিশ্বাস সের্গেই ল্যাভরভ দাদাগিরি করার জন্য এখানে আসবেন না। বরং তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন।’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিলো তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ওই দেশের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে রাশিয়া। ওই সময়ে তাদের যে ভূমিকা ছিল এখনও সেটি থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘এখন পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকমের নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। আমার বিশ্বাস রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেটির বিপক্ষে একটি নৈতিক সমর্থন দেওয়ার জন্য হয়তো আসছেন।’

‘আমরা আশা করবো রাশিয়ার বর্তমান দুর্দিনে বিশেষ করে ন্যাটো একটি ছায়া যুদ্ধ করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে – এরকম কঠিন সময়েও তিনি মনে করছেন যে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো দরকার, তাদের নৈতিক সমর্থন দেওয়া দরকার, বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়া দরকার। আমার বিশ্বাস এই সফর আমাদের মনোবল আরো চাঙা করবে, সাহসী করবে।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে পথ করে দিয়েছেন, যাতে করে আমাদের আত্নসম্মানের জায়গা আরও মজবুত হয়– এই সফরের মাধ্যমে এই বার্তাগুলো আরও প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

 







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ