আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তথ্যের ঘাটতির কারণে বিবৃতি দিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
|
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তথ্যের ঘাটতির কারণে বিবৃতি দিয়েছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ইন্দোনেশিয়া সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনও চাপ মনে করি না। আমরা মনে করি, এখানে তথ্যগত ঘাটতি আছে। বড় বড় নেতাদের হয়তো কেউ বলেছে যে, বাংলাদেশ এ রকম নামিদামি লোককে হয়রানি করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো তারা বিবৃতি দিয়েছে। এখানে বোধহয় তথ্যের ঘাটতি আছে, অজ্ঞতার কারণ আছে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর প্রেক্ষাপটে একযোগে ১৮০ জন বিশ্বনেতা তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন। চিঠিদাতাদের মধ্যে বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, আল গোর, তাওয়াক্কুল কারমান, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসসহ ১৪ জন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। ওরহান পামুক, জে এম কোয়েটজিসহ ৪ জন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। জোসেফ স্টিগলিৎজসহ অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী আছেন ৭ জন। এ ছাড়া রসায়নে ২৮ জন নোবেল বিজয়ী, চিকিৎসাশাস্ত্রে ২৯ জন নোবেল বিজয়ী এবং পদার্থ বিজ্ঞানে ২২ জন নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে মনে হয় মনে করছেন— রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্যকোনও কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি।’ তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে যে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা মনে হয় জানেন না। তারা হয়তো ভাবছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো যে, যারা চিঠি লিখেছেন— তারা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তারা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেবো।’ তিনি জানান, আমরা স্ব-উদ্যোগে এর ওপর কোনও মন্তব্য করবো না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে।তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন।’ বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন— মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
|