খুতবার সময় যেসব কাজ করা যাবে না
|
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত সপ্তাহিক বিশেষ ইবাদতের দিন জুমা। এ দিনের ইবাদত-বন্দেগির ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা এসব ইবাদত-বন্দেগির কথা ওঠে এসেছে। এরপরও মানুষ জুমার দিনের অনেক কাজ ঠিকভাবে করে না। জুমার দিনের কিছু কাজ ও আমল তুলে ধরা হলো- জুমার দিন মসজিদে প্রবেশ করেই দুই রাকাত নামাজ পড়া মসজিদে প্রবেশ করে প্রথমেই দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। এটা হলো তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ। এমনকি খতিব সাহেব যদি খুতবা দিতে থাকেন (আরবীতে ওয়াজিব দুইটা খুতবা কিংবা বাংলা বয়ান, যেকোনো সময়েই হোক), তবুও এই দুই রাকাত নামাজ পড়তে পড়ে নেওয়া। কারণ এটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ। আর যদি খুতবা শুরু না হয় এরপর আপনার ইচ্ছা হলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যাবে, অথবা অন্য যিকির, দোয়া, দুরুদ, কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে, এতে কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। নিরবে খুতবা শোনা যাদের জন্য জুমা ওয়াজিব নয় জুমার নামাজের প্রচলিত কিছু ভুল > মসজিদে গিয়ে তাহিয়াতুল মসজিদের ২ রাকাত নামাজ না পড়ে বসে পড়া। > মূল খুতবার সময় দান বাক্স চালু করে খুতবা শুনতে বিঘ্ন ঘটানো। মসজিদের টাকা তোলার দরকার আছে, কিন্তু খুতবা শোনা তার থেকেও জরুরি। এটা খুতবা শোনার আদবের পরিপন্থী একটা বিষয়। > মানুষ বেশি হওয়ার কারণে কোনো এক ফাঁকে ঢুকে গিয়ে অন্যকে কষ্ট দিয়ে বসা। হাদিসে এটা করতে নিষেধ করা হয়েছে। বরং যেখানে জায়গা পাওয়া যাবে সেখানে বসা। চাপাচাপি করে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। দরকার হলে নিজে কষ্ট করে ছাদে, রাস্তায় নামাজ পড়া তবুও অন্যকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। > খুতবার সময় কথা বলা (মুখে বা ইশারায়) – এটা খুবই মারাত্মক একটা বিষয়। এমনকি এ নিকৃষ্ট কাজের জন্য কারও জুমার নামাজের সওয়াব কমে যায়। কেউ যদি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, আপনি যদি তাকে বলেন, ‘চুপ করো’ তাহলেও আপনি অনর্থক কাজ করলেন। এবার তাহলে চিন্তা করুন, কেমন আছো, কি খবর? এই ধরণের আলাপ করলে বা মোবাইল ফোনে কথা বললে, চ্যাট করলে, গেমস খেললে কতটুকু গুনাহ হবে? আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহক উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযত খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
|