যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি সহি হবে না
|
নামাজে যেমন ভালো পোশাক পরা উত্তম, তেমনি কোরবানির ক্ষেত্রেও সামর্থ্যের মধ্যে ভালো পশু ক্রয় করা উচিত। কারণ, কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। একইসঙ্গে পশুতে এমন কিছু দোষ-ত্রুটি আছে, যার কারণে কোরবানি বাতিলও হয়ে যেতে পারে। এজন্য পশু কেনার আগেই বিষয়গুলো সবার জানা থাকা দরকার। কী কী ত্রুটি থাকলে কোরবানি সহি হবে না, সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো— ১. যদি কোরবানির পশু এমন শুকনো ও দুর্বল হয়, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না, তা দ্বারা কোরবানি করা সহি হবে না। ২. খোড়া পশু দ্বারাও কোরবানি জায়েজ হবে না। যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না, কোরবানিতে এমন পশু জবাই করা যাবে না। ৩. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে এবং এ কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন পশু দ্বারাও কোরবানি সহি হবে না। বিপরীতে যদি পশুর শিং অর্ধেক বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে যায় বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশুতে কোরবানি জায়েজ। ৪. দাঁতহীন বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না- এমন পশু দ্বারাও কোরবানি সহি নয়। ৫. যদি পশুর দুটি চোখই অন্ধ কিংবা এক চোখ পুরো নষ্ট অথবা এক চোখের দৃষ্টিশক্তি এক-তৃতীয়াংশ বা তারও অধিক নষ্ট হয়ে যায় সে পশু কোরবানি জায়েজ হবে না। ৬. যে পশুর লেজ বা কোনও কান এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি কাটা ওই পশু দ্বারাও কোরবানি সহি হবে না। কিন্তু যদি জন্মগতভাবেই কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। তথ্যসূত্র: জামে তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ, ফাতওয়ায়ে আলমগিরি, বাদায়েউস সানায়ে ও রদ্দুল মুহতার।
|