সুন্দর কথা বলতে নবিজির (সা.) উপদেশ
|
একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। মানুষের সঙ্গে সুন্দর আচরণ ও উত্তম কথা বলা। অনেকেই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না। অথচ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর আচরণ ও উত্তম কথা বলার চমৎকার বিনিময়ের কথা ঘোষণা করেছেন। কোরআন- হাদিসে এ সম্পর্ক বিশেষ দিকনির্দেশনা এসেছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহকে পরস্পরের সঙ্গে সুন্দর আচরণ ও উত্তম ভাষায় কথা বলার উপদেশ দিয়েছেন। এটি ঈমানদারের বিশেষ আমলও বটে। এ আমলের সর্বোত্তম বিনিময় সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে- উত্তম কথা কেন বলবেন? فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی বর্তমানে যারা একে-অন্যের সঙ্গে কথা বলে, তারা যেমন মুসা আলাইহিস সালামের চেয়ে উত্তম নয়; তেমনি যার সঙ্গে কথা বলে, সে-ও ফেরাউনের চেয়ে বেশি মন্দ বা পাপিষ্ঠও নয়। তাই সুন্দর কথা ও উত্তম আচরণের বিকল্প নেই। সুন্দর কথার পুরস্কারই আলাদা! ২. হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের মধ্যে একটি বালাখানা রয়েছে, যার ভেতর থেকে বাইরের এবং বাইরে থেকে ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়। এক বেদুঈন বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বালাখানা কার জন্য? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- > যে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে ভালো (সুন্দর ভাষায়) কথা বলে; ৩. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর এক বর্ণনায় এসেছে যে, মানুষের সঙ্গে সদালাপের (সুন্দর কথার) অর্থ হচ্ছে- সৎ কাজের আদেশ দেওয়া ও অসৎ কাজের নিষেধ করা।’ (আত-তাফসীরুস সহীহা) সুতরাং হাদিসের আলোকে সুন্দর কথা বলার প্রথম অনুপম শিক্ষা হলো- যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে গালাগাল দেয়; তারপরও ওই ব্যক্তির সঙ্গে উত্তম ভাষায় সুন্দর কথা বলা। তবেই মহান আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে দান করবেন চিরস্থায়ী জান্নাত। ‘সুন্দর কথার’ আমল মানুষকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়। হাদিসে এ আমলের ঘোষণা-ই যে কাউকে কথা-বার্তায় শালিন হতে শেখাবে। এমনকি কারও গালাগালের বিপরীতেও উত্তম কথায় জবাব দেওয়ার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে। যারাই হাদিসের ওপর আমল করবে তারাই হবে জান্নাতি। তারাই পাবেন জান্নাতের নেয়ামত বালাখানা ও ধৈর্যের প্রতিদান। মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাআলা সব মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে সুন্দর আচরণ ও ভালো কথা বলার তাওফিক দান করুন। সুন্দর কথা বলার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের পাশাপাশি পরকালে মুমিন মুসলমানকে জান্নাতের বালাখানা ও নেয়ামতে ধন্য করুন। আমিন।
|