মো,ওমর ফারুক,চাঁদপুর:চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে বাসার বাহিরে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিপি অ্যাড. রণজিৎ রায় চৌধুরীর বাসা হতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১১ অক্টোবর শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ বিল্লাল জানান, ঐক্য পরিষদের এক নেতার বাসা হতে ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় অনেক খোঁজাখোজির পর গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার গজারিয়া এলাকা হতে অভিযান চালিয়ে তপন চন্দ্র সাহা নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছি। তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দুই লাখ টাকা। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তপন চন্দ্র সাহাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
মামলার বাদী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিপি অ্যাড. রণজিৎ রায় চৌধুরীর সহধর্মিণী স্কুল শিক্ষিকা মৃদুলা সাহা জানান, আমাদের চাঁদপুর শহরের জে.এম. সেনগুপ্ত রোডের কদমতলা পৌর ভবনের ছয়তলায় বাসায় কর্মরত কেয়ারটেকার তপন চন্দ্র সাহা হঠাৎ উধাও হয়ে যান। তপন চন্দ্র সাহা ছিলেন আমাদের পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও চার বছর ধরে সে বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করছিলো। ধীরে ধীরে তপন পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করে। সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সে বাসার আলমারি থেকে প্রায় ২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, আমার স্বামী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সব সময় কাজ করে চলেছেন। চুরির সময় আমি ও আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই।গেলো ১১ আগস্ট রাতে বাসায় ফিরে পরদিন দুপুরে দেখি তপন নিখোঁজ এবং আলমারির সব স্বর্ণালঙ্কারও উধাও। হারানো স্বর্ণের মধ্যে ছিল হাতের চুড়ি, নেকলেস, কানের দুল, আংটি, গলার চেইনসহ পরিবারের অন্যান্য নিকট আত্মীয়ের পুরনো স্মৃতি ও মূল্যবান গয়না। দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কেয়ারটেকারের এমন আচরণে আমাদের পরিবারের সব সদস্যরা মানসিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, তপন অত্যান্ত ধূর্ত্য প্রকৃতির লোক। সে বাকি টাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা কি করেছে এবং কোথায় রেখেছে সেটাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা রাখি।