DeshDeshAntor Exclusive:আল্লাহপ্রেমে মগ্ন এক দরবেশের নাম— পাগল শহীদ (রহঃ)। তাঁর নামেই জেগে আছে কিশোরগঞ্জের গর্ব, পবিত্র ‘পাগলা মসজিদ’।নরসুন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এই ঐতিহাসিক স্থাপনা শুধু একটি মসজিদ নয়, বরং এটি এক আধ্যাত্মিক ইতিহাসের নিদর্শন, যেখানে আজও মানুষ খুঁজে ফেরে শান্তি, প্রেম ও আল্লাহর নৈকট্য।
ইতিহাসের পাতা থেকে–মুসলিম ঐতিহ্যবাহী জনপদ কিশোরগঞ্জে প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের মিলন ঘটেছে অনন্যভাবে। এরই মাঝে আড়াইশ বছরের পুরোনো পাগলা মসজিদ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদটি এক সময় নদীর মাঝেই ছিল। জনশ্রুতি অনুযায়ী, ঈশা খানের পরবর্তী সময়ে তাঁর বংশধর দেওয়ান জিল কদর খান (জিল কদর পাগলা) নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। তাঁর নামানুসারেই পরবর্তীতে মসজিদটির নাম হয় “পাগলা মসজিদ”।
তৎকালীন সময়ের জমিদার পরিবার ‘হয়বতনগর’র সঙ্গে এই মসজিদের গভীর সম্পর্ক ছিল। কেউ বলেন, মসজিদের নাম এসেছে “পাগলা বিবি” নামে পরিচিত এক নারী সাধিকার নামানুসারে, আবার কেউ বলেন, আধ্যাত্মিক সাধক জিল কদর পাগলা সাহেবের নামেই এর উৎপত্তি।
স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের নিদর্শন-তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটি মোগল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য উদাহরণ। একসময় এটি ছিল আধাপাকা টিনের ঘর, পরে ’৮২ সালে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে নতুন রূপ পায়। ’৯০-এর দশকে নির্মিত হয় ১১ তলা উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন মিনার-যা দূর থেকেও নজর কাড়ে। এর বর্তমান মোতোয়ালি দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান, যিনি শোলাকিয়া ঈদগাহেরও মোতোয়ালি। তাঁর পূর্বপুরুষ দেওয়ান মান্নান দাদ খান এই মসজিদের পুনর্গঠনে দান করেছিলেন বিপুল অর্থ ও জমি।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও জনআস্থা-এই মসজিদকে ঘিরে প্রচলিত আছে অগণিত অলৌকিক কাহিনি। জনশ্রুতি আছে- কোনো বিপদে পড়লে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে যদি কেউ পাগলা মসজিদে নামাজ পড়ে বা শিরনি দেয়, তবে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন। এই বিশ্বাসেই আজও হাজারো মানুষ এখানে দান-খয়রাত করেন, কেউ নগদ অর্থ, কেউ স্বর্ণালংকার, কেউ আবার জমি দান করেন।
মসজিদের দান থেকে গড়ে উঠেছে বিশাল কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বলা হয়, এই মসজিদের আয় এখন কোটি টাকায় গোনে।
আধ্যাত্মিকতার অনন্ত কেন্দ্র-নরসুন্দার তীরে দাঁড়িয়ে পাগলা মসজিদ যেন আজও উচ্চারণ করে সেই ভালোবাসার সুর-“মারহাবা, মারহাবা, মারহাবা!”
আল্লাহপ্রেমে মগ্ন সেই দরবেশ পাগল শহীদ (রহঃ)-এর স্মৃতি আজও মিশে আছে বাতাসে, আজও কিশোরগঞ্জের হৃদয়ে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি।
অবস্থান: হয়বতনগর সংলগ্ন হারুয়া এলাকা, কিশোরগঞ্জ সদর, যাতায়াত: শহরের যেকোনো স্থান থেকে সহজেই রিকশা, পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে পৌঁছানো যায়
পাগলা মসজিদ -যেখানে মাটির গন্ধে মিশে আছে আকাশের প্রার্থনা।




প্রাইভেটকার জব্দ হাজীগঞ্জে ভোররাতের চেকপোস্টে গাঁজা ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ ঢাকার যুবক-যুবতী আটক
চাঁদপুরের বিনিময় নাট্ট গোষ্ঠীর সভাপতি বাহার:সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে চান্দ্রা ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ হবে-গিয়াস উদ্দিন মিন্টু মাঝি
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ৮ বছরের ফারদিনের:শিক্ষক পিতার কোলে নিথর দেহ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি যুবককে অবৈধভাবে আটকে রাখার দায়ে চারজনের কারাদণ্ড ও জরিমানা 
দলিল লেখার সময় অসাবধানতা হতে পারে বিপদ! – ক্রেতার জন্য জরুরি ১১টি সচেতনতামূলক নির্দেশনা