সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানিতে শরিকদের নাম উচ্চারণ করা কি জরুরি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য প্রতি বছর সামর্থ্যবান মুসলিমেরা কোরবানি আদায় করে থাকেন। কোরবানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো- এতে অন্যকে শরিক করা বা কয়েকজন মিলে কোরবানি করা। গরু, মহিষ ও উট—এই তিন প্রকার পশুর একেকটিতে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি পর্যন্ত শরিক হয়ে কোরবানি করা যায়।

শরিকদের সংখ্যা জোড় হোক বা বেজোড় তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোরবানির জন্য শর্ত হলো কারো অংশ যেন এক-সপ্তমাংশের চেয়ে কম না হয়। (মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)

শরিকেরা মিলে কোরবানি করার সময় অনেককে পশু জবাইয়ের আগে অংশীদারদের নাম জোরে জোরে মুখে উচ্চারণ করে বলতে দেখা যায়। অনেকে এভাবে নাম উচ্চারণ করাকে জরুরি মনে করেন। এমন না করলে কোরবানি হবে না বলেও মনে করেন।

তবে আলেমেরা বলেন, কোরবানির সময় কোরবানিদাতাদের নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। কেননা কার পক্ষ থেকে পশু কোরবানি করা হচ্ছে, সেটি তো পশু কেনার সময়ই নির্ধারিত হয়ে যায়। অর্থাৎ কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে দেখা হবে মালিকানা কাদের। পশুতে যার যার মালিকানা আছে, তারা যাদের নামে কোরবানি আদায়ের নিয়ত করবেন তাদের নামেই কোরবানি হবে।

পশু জবাইয়ের সময় কোরবানিদাতাদের নাম উল্লেখ করা সুন্নত আমলের পর্যায়েও পড়ে না। কেননা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরবানির পশু জবাই করার সময় কার পক্ষ থেকে কোরবানি হচ্ছে বা কারো নাম মুখে উচ্চারণ করে বলেছেন বলে কোনও বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে তিনি কোরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বলেছেন।

তবে কোরবানির আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নামগুলো পাঠ করা যেতে পারে, কিন্তু এটি জরুরি বা সুন্নত হিসেবে নয়। এভাবে উল্লেখ করলেও হবে যে, আমরা অমুক বলছি, আমাদের কোরবানি কবুল করুন, অথবা সবার তরফ থেকে কোরবানি কবুল করুন। (সহীহ বুখারী-৫৫৫৮, সহীহ মুসলিম -১৯৬৬)

 







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ